বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৪

বর্ষা-বিদায়

ওগো বাদলের পরী!
যাবে কোন দূরে, ঘাটে বাঁধা তব কেতকী পাতার তরী।
ওগো ক্ষনিকা, পুব-অভিসার ফুরাল কি আজি তব?
পহিল ভাদরে পড়িয়াছে মনে কোন দেশ অভিনব?

তোমার কপোল-পরশ না পেয়ে পান্ডুর কেয়া-রেণু,
তোমারে স্মরিয়া ভাদরের ভরা নদীতটে কাঁদে বেণু!
কুমারীর ভীরু বেদনা-বিধুর প্রণয়-অশ্রু সম
ঝ'রিছে শিশির-সিক্ত শেফালি নিশি-ভোরে অনুপম।

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৪

ধর্ষণ এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

বর্তমান সমাজের দিকে তাকালে আমরা নারী নির্যাতনের যে হার দেখতে পাই তা সমাজের উন্নতির জন্য কতটুকু বাঁধা আমরা সেটাই আগে ভাবি, কিন্তু কজন ভাবে সমাজের এই অসঙ্গতির কারণ কি ? আমরা যখন মিডিয়াতে নারী নির্যাতনের চিত্র দেখতে পাই তখন খুব ব্যথা অনুভব করি। কিন্তু যখন নিজের ছেলে কিংবা কোন আত্মীয় এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে তখন কি করি ? তাকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দেই। এটাই নীতি, মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে গেছে স্বজনপ্রীতি, আত্মপূজা ! বাংলাদেশে ইদানিং যে পরিমানে নারী নির্যাতন হচ্ছে তার একমাত্র কারন যে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যে হারে দেশের আনাচে-কানাচে ধর্ষণের ঘটনা চোখে পড়ছে, তাতে ইউরোপ-আমেরিকা, ভারতের মতো বাংলাদেশও এখন ধর্ষণপ্রবণ এলাকা হিসাবে গণ্য হচ্ছে। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির জরিপে দেখা গেছে, দেশে শুধু ২০১২ সালে ৮১৪ এবং ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৫৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনটির জরিপ মতে, ধর্ষণের ঘটনায় ৭০ শতাংশেরই মামলা হয় না আর ৬০ শতাংশ মামলায় কোনো শাস্তি হয় না। সমিতির সভাপতি ফাওজিয়া করিম বলেন, ধর্ষণের শাস্তি হয় খুবই কম। মানবাধিকার নেত্রী মাহবুবা হক কুমকুম বলেন, ধর্ষণের অধিকাংশ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হয়, যার জন্য বিচার ঠিকমতো করা যায় না।

 

Blogger news

Blogroll

About